অব্যক্ত অনুভূতি






অব্যক্ত কথা ও অনুভূতিগুলোর রেডিয়েশনটা এতটাই তীব্র যে হয়ত যেকোনো সময় নিউক্লিয়ার হয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে, যা মানব সদৃশ অনেক প্রাণীর জন্যই হিরুশিমা-নাগাসাকির ভয়াবহতা নিয়ে আসবে।কিছুটা ঝাঁঝালো ও তেতো স্বাদের নামনাজানা কাল্পনিক ফলের বিষাক্ত বিষক্রিয়ায় হয়তো ঝলসে যাবে কিছু কণ্ঠনালী,হয়তো সামান্য নিশ্বাসে গুলশানের অগ্নিকান্ডের মতো কালো ধুঁয়ায় রুদ্ধশ্বাস নেমে আসবে ধমনীতে।বিবেকের আপত্তিটাও একসময় অতিষ্ঠ হয়ে হাল ছেড়ে দিবে, কি হবে তখন?নতুন কোনো যুদ্ধ হবে তখন,পড়বে আকাশ থেকে রাশি রাশি ফ্যাটম্যান-লিটলম্যান, নব্য হিটলাররা  নব্য হিটলাররা তৈরি করবে ঐতিহাসিক গ্যাসচেম্বার?মেহতির কান্না-পাহাড়ের কান্না-ধর্ষিত নুসরাতের কান্না আদৌকি পৌছায় তোমাদের কানে?কিংবা চে গুয়েবারা ও চলেশ রিছিলের নির্মম মৃত্যু আদৌকি দৃষ্টি দেখায় আমাদের? সন্তানহারা শোকার্ত মায়ের অভিশাপ আদৌকি ভাবায় আমাদের?বুকে কঠিন পাতরের পিরামিড ফাড়াউনের নৃশংসতায় অভ্যস্ত করেছে আমাদের,পূর্ণিমার চাঁদ যেন আজ কৃত্তিকা আর তনুর ধর্ষিত যৌবনের কথা বলে।মধ্যবিত্তের অব্যক্ত কষ্ট আজ অসহনীয় হয়ে পড়েছে, না বলা চাপা প্রেমালাপ আজ শত হৃদয়ের রক্তক্ষরণের কারণ।

দস্তয়ভস্কির সৃষ্টি রাস্কলনিকভ আজ ঘরে ঘরে, সবাই যেন কাপুরুষোচিত মানবিকতার অধিকারী চেপে রাখা প্রতিবাদে বনে যাচ্ছে অন্যায়ের পূজারী!পাপিদের কাছে পাপ করাটাও আজকাল একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে,রেজিস্টার্ড পাপিদের দলে আমি,আপনি কে নেই? অভিনয় করে বেঁচে আছে শত শত মানুষ, বুকে হাত দিয়ে কথা বলার মানুষ নেই মিথ্যে অনুভূতিতে অভ্যস্ত সবাই। ভণ্ডামিতে সুখে আছি আবার প্রয়োজনে হয়ে উঠছি লেনিনের মত সাম্রাজ্যবাদের প্রতিবাদী ।একাকী মরু ক্যাকটাসের বিষন্নতা অন্তর ছুঁয়ে যায় নির্মমতায় যেখানে অন্তরালে নিজের ছায়া খোঁজে পাই। তাই অন্তরে রক্তক্ষরণ অব্যক্ত বেদনায়।অনুভূতিগুলোকে ছুটি দিতে চাই আর দিতে চাই স্বাধীনতা, অন্যথায় অন্তর ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসবে তরল ধ্বংসাত্মক লাভা, ছড়িয়ে পড়বে দিগ্বিদিক আর ঝলসে দিবে সস্তা অনুভূতিগুলো।

Comments