অভিমানী স্মৃতিচারণ
-----------------------------------------
সেইযে ৫টা বছর আগে অভিমান করেছিলাম তা কিন্তু আর নেই,
এখন আর তোর জন্য বুকে ধকধকানি আসেনা
এখনত তোকে নিয়ে স্বপ্নেও ভাসিনা।
তখন আমার ছিল কাঁচা বয়স
অল্পতেই হয়ত কেঁদে দিতাম,
এসবযে আবেগের আতিশয্য তখনকি আর তা জানতাম?
তোমার চশমাটা ভালো লাগতো আমার
একদিন সাহস করে চেয়েছিলাম চোখে দেওয়ার জন্য
তুমি বোধহয় না করেছিলে
সাথে সাথে বাধ্য ছেলের মত চশমা পরার ইচ্ছাটি দিলাম সমুদ্রে ফেলে।
তোমার মনে আছে প্রথম চিঠিতে কি লিখেছিলাম?
মনের কথাটি কিন্তু সব শেষে বলেছিলাম।
লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম তোমাকে
খুব দুষ্টু ছিলাম তাইনা!
সেইসাথে ভয়টাও ছিল মনে সেসময়
যদি না করতে পারি তোমার মন জয়!
থাক,ওইসব স্মৃতি আর নাইবা টানি
এতেকরে তোমার মনটাযে গলবেনা তা আমি বেশ জানি।
যেটা বলছিলাম,
তোমার প্রতি আমার আর নেই কোনো অভিমান সুখে আছো তা জেনে আমিও হয়েছি সুখে অম্লান।
যেখানেই যাওনা কেন বৃত্তাকার এই পৃথিবীতে একসময় দুজনের দেখা হবেই নিকটে।
সেই তুমিকি আগের মতোই আছো?
খুব জানতে ইচ্ছে করে,
নাকি মোহ-মায়ায় আবিষ্ট থেকে স্বাচ্ছন্দ্যেই আছো?
ভেবোনা কিছু চাইছি
তোমার কাছ থেকে যা পাইনি
তা আমি অন্যের কাছ থেকেই পাচ্ছি,
হয়ত কিছু সুখ কিংবা
আবেগময় কিছু স্মৃতির জন্ম দিয়েছিলে
তাইতো এখনো তোমাকে স্মরণ করি বিভিন্ন কৌশলে।
কৌশলটি আর কিছু নই
আমার এই ছোট্ট কবিতা যেখানে একত্র করতে পারিনি স্মৃতির সবগুলো পাতা
তবুও আর একবার বলছি আমি কিন্তু সেই অভিমানীটি আর নেই।
আমি এখন অভিনয় করতে শিখেছি
কষ্টগুলো চেপে রেখে দেখিয়ে হাসতে পারছি;
অভিমানীদের অভিমান ভাঙানোই ওস্তাদ আমি
ভালোবেসে সুখে থাকে তাই আমার অন্তর্যামী।

Comments
Post a Comment